বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্য ফরিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, ডিবির পরিচয় ব্যবহার করে দোকানদারদের কাছ থেকে বাকিতে মালামাল নেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা গেছে, নগরীর কাউনিয়া এলাকার বস্তুহারা কলোনির একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন ফরিদ। এছাড়া নতুন বাজার ব্রিজ এলাকার ফুটপাতের দোকানদার, চায়ের দোকানসহ স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকেও নিয়মিতভাবে ডিবির পরিচয়ে চাঁদা আদায় এবং বাকিতে মালামাল নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একাধিক দোকানদার এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এবং একটি ভিডিওচিত্রও গণমাধ্যমের হাতে এসেছে, যেখানে ফরিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। একইসঙ্গে কিছু অডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে যেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন শোনা যায়।
এই বিষয়ে ফরিদের টিম ইনচার্জ জাহিদ হাসানকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেও গত দুই মাসে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং স্থানীয়দের দাবি, ফরিদের মাসোয়ারার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফরিদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
তবে স্থানীয়দের দাবি, প্রমাণসহ একাধিক অভিযোগের পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।